“অনেক কঠিন সময় যাচ্ছে আমার অফিসে। ২ দিন টানা অফিসে কাজ করতে হয়েছে একটা প্রোজেক্টের কাজে। তো এরকম শ্রান্ত হয়ে আমি সন্ধ্যাবেলা বাসায় ফিরলাম। আমার স্ত্রী আমাকে অনেক অনুরোধ করেছে আজকে আমি যাতে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরি। আমি অনেক ক্লান্ত আর এদিকে আমি দুপুরে খেয়েছি গাজরের হালুয়া আর পরাটা (যেটা আমার একদম খাওয়া ঠিক হয় নি)। আমার গ্যাসের অনেক সমস্যা। এসব খাওয়াতে গ্যাস অনেক ববেড়ে গিয়েছে।
এক ভদ্রলোকের ডাইরি |
আমি বাসায় ফিরার পর আমার স্ত্রী আমাকে দেখে অনেক উচ্ছ্বসিত হল। আর বলল “হানি, আজকে তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ ডিনার আছে। সে অনেক সময়ই এই কাজ করে। চমকে দিয়ে সারপ্রাইজ দিতে পছন্দ করে। যাই হোক সে আমাকে টেবিলে নিয়ে বসালো। দেখলাম যে টেবিলের পাশে সাদা পর্দা দিয়ে ব্লাইন্ডফোর্ড দেয়া। এদিকে গ্যাসে আমার অবস্থা খারাপ। আমার গ্যাস বের করা খুব জরুরী হয়ে পড়েছে। কি করব বুঝছি না। এই সময়ে আশীর্বাদের মত পাশের রুমে ফোন বাজলো। আমার স্ত্রী অই রুমে চলে গেল। আমি হাপ ছেড়ে বাঁচলাম। সে ফোন ধরতে গেল আর আমি সাথে সাথে বায়ুত্যাগ করলাম শব্দ করে। গন্ধ বের হল যেন ময়লার ডাস্টবিনের মতো। আমি ন্য…
াপকিন দিয়ে নাড়তে গন্ধ তাড়ালাম। মানে চেষ্টা করতে লাগলাম।এরপর চাপ আরেকটা হাল্কা করার জন্য আরেকবার গ্যাস ছাড়লাম অ্যাটমবোমের মতো। এবার গন্ধ বের হল পচা শাঁকসবজির। আমি খেয়াল করছিলাম সে কতক্ষণ ফোনে কথা বলে। এরই মাঝে আরও কয়েকবার গ্যাস ছাড়লাম। গন্ধ বের হচ্ছিল পুরো সারের ট্রাক থেকে যেরকম গন্ধ আসে ওরকম। সে ফোনটা রেখে চলে আসছিল। এরমধ্যে আমি সর্বশেষ গ্যাসটা ছাড়লাম। খুবই শান্তি লাগছিল।
যাই হোক সে আসলো। সে এসে জিজ্ঞেস করল যে আমি সাদা পর্দা সরিয়েছি নাকি! আমি আশ্বস্ত করলাম যে আমি সরাই নি।
সে তখন সাদা পর্দাটি সরাল।
প্রায় ২০ জনের মতো বন্ধু আর আত্মীয় সেখান থেকে বের হয়ে আসলো আর বলল “শুভ জন্মদিন!!!!!!!!”
0 comments:
Post a Comment